কিভাবে প্রবেশনের সুযোগ পাওয়া যায়?
প্রবেশন মঞ্জুর করা মূলতঃ বিজ্ঞ আদালতের একটি স্বেচ্ছাধীন ক্ষমতা।
প্রবেশন ব্যবস্থায় বিচার কার্যের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হওয়ার পর কোন ব্যক্তি যখন আইনের দৃষ্টিতে দোষী সাব্যস্থ হওয়ার উপক্রম হয় কিংবা ব্যক্তি যদি দোষ স্বীকার করে তখন বিজ্ঞ আদালতের কাছে প্রবেশনের সুযোগ পাওয়ার জন্য আদালতের গোচরিভূত করা যায়। আদালত যদি উপযুক্ত মনে করেন যে, আইনের অধীনে প্রবেশন আদেশের শর্তাবলী পালনে অঙ্গীকারাবদ্ধ করে অপরাধী তার সংশোধন ও পুনর্বাসনে উপকৃত হতে পারে, তখন আদালতে নিয়োজিত প্রবেশন অফিসারকে অপরাধীর চরিত্র, প্রাক বংশ পরিচয়, পারিবারিক পারিপাশ্বিক ও তথ্যাদি বা অবস্থাদি তদন্ত করে একটি প্রাক দন্ডাদেশ প্রতিবেদন আদালতের নিকট দাখিল করার অনুরোধ করেন। তদন্তে প্রবেশন অফিসার যদি বুঝতে পারেন যে, অপরাধীর প্রবেশনের বা সমাজ ভিত্তিক সংশোধনের সুযোগ রয়েছে তা হলে তিনি প্রবেশনের সুপারিশ করেন। অন্যথায় অপরাধীকে শান্তি পেতে হয়। বিজ্ঞ আদালত মামলার কাগজপত্র ও সার্বিক অবস্থা পর্যালোচনা করে স্ব-উদ্যোগেও প্রবেশন মঞ্জুর করতে পারেন।
সেবাদান কেন্দ্র
প্রবেশন কার্যালয়, ভোলা
উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয় (সকল উপজেলা সমাজসেবা অফিসার, প্রবেশন অফিসারের অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত)
সেবা
প্রবেশন অফেন্ডার্স অব এ্যাক্ট ১৯৬০ মোতাবেক প্রথম লঘু অপরাধ বা লঘু অপরাধে দন্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের সহায়তা প্রদান;
শিশু আইন ২০১৩ মোতাবেক লঘু অপরাধী শিশুদের কারাগারে না রেখে প্রবেশন অফিসারের তত্ত্বাবধানে কাউন্সেলিং এর মাধ্যমে শিশুর মানসিকতার উন্নয়ন;
কারবন্দী ব্যক্তিদের শিক্ষা ও বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ প্রদান;
কারাবন্দী ব্যক্তিদের জন্য বিনোদনমূলক কার্যক্রম পরিচালনা;
কারাগারে আটক শিশুদের মুক্তি/উন্নয়ন কেন্দ্রে স্থানান্তরে সহায়তা প্রদান;
কারামুক্ত কয়েদীদের সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে পুনর্বাসন।
কার্যক্রম বাস্তবায়ন সংশ্লিষ্টগণ
সমাজসেবা অধিদফতরের কার্যক্রম শাখা এ কার্যক্রম দু’টি বাস্তবায়ন করে থাকে। পরিচালক (কার্যক্রম) এর নেতৃত্বে একজন অতিরিক্ত পরিচালক, একজন উপপরিচালক, ১ জন সহকারী পরিচালক, সদর দপ্তর পর্যায়ে এবং মাঠপর্যায়ে ৪৪ জন প্রবেশন অফিসার এবং ৪৮৮ জন অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রবেশন অফিসার (উপজেলা সমাজসেবা অফিসার) এ কার্যক্রম বাস্তবায়নের সাথে সংশ্লিষ্ট।
সেবা গ্রহীতা
প্রবেশন অব অফেন্ডার্স অর্ডিনেন্স অনুযায়ী প্রথম ও লঘু অপরাধী বা আদালত হতে সাজাপ্রাপ্ত প্রবেশনার;
শিশু আইন ২০১৩ অনুযায়ী আইনের সংস্পর্শে আসা শিশু বা আইনের সাথে সংর্ঘষে জড়িত শিশু;
কারাগারে আটক সাজাপ্রাপ্ত নারীদের বিশেষ সুবিধা আইন ২০০৬ এ অনুয়ায়ী সুবিধা প্রাপ্তির যোগ্য নারী।
সেবা প্রদান পদ্ধতি (সংক্ষেপে)
১. প্রবেশন এন্ড অফেন্ডার্স অডিনেন্স ১৯৬০ (সংশোধিত ১৯৬৪) এর ৫ ধারা মোতাবেক সংশ্লিষ্ট আদালত কর্তৃক যে কোন বয়সের প্রথমবার ও লঘু অপরাধে দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তি অথবা অভিযুক্ত ব্যক্তি নিজে দোষ স্বীকার করলে আদালত দন্ড স্থগিত রেখে প্রবেশন অফিসারের তত্ত্বাবধানে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে নির্দিষ্ট মেয়াদে পরিবার বা সমাজে রেখে সংশোধন ও আত্মশুদ্ধির সুযোগ প্রদান করা হয় ।
২. শিশু আইন ২০১৩ এর ধারা ৩৪ উপ-ধারা ৬ মোতাবেক শিশুদের শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে আটক রাখার পরিবর্তে সদাচরণের জন্য শিশু আদালতের আদেশক্রমে প্রবেশন সেবা প্রদান করা হয় ।
৩. কারাগারে আটক সাজাপ্রাপ্ত নারীদের বিশেষ সুবিধা আইন ২০০৬ এর আওতায় কারাগারে আটক সাজাপ্রাপ্ত নারীদের শর্ত স্বাপেক্ষে মুক্তির ব্যবস্থা করা হয় ।
৪. মুক্তিপ্রাপ্ত কয়েদিদের এবং শিশু উন্নয়ন কেন্দ্র থেকে মুক্তিপ্রাপ্ত শিশুদের প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে দক্ষতার উন্নয়ন ঘটিয়ে / সমাজসেবা অধিদফতরের বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় এনে সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে পুনর্বাসন করা হয়
সেবা প্রদানের সময়সীমা
আদালত কর্তৃক নির্ধারিত সময়সীমা
অপরাধী সংশোধন ও পুনর্বাসন সমিতি/প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির অনুমোদন প্রাপ্তির পর ১০ কর্মদিবসের মধ্যে
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস